শনিবার, ১৬ এপ্রিল
হাতিয়া (নোয়াখালী) থেকে ফিরে: চাঁদা না দেয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিন সন্তানের জননী শাহানারাকে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়েছিল দুইধাপে। প্রথম ধাপের ঘটনাটি একজন যুবক মোবাইল ফোনে ধারণ করতে পারলেও দ্বিতীয় চিত্রটি সম্ভব হয়নি।
গত সোমবার হাতিয়া থানার ‘দালাল’ শাহজাহান তাকে দুই ধাপে পেটান। ঘটনায় বাংলামেইলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে লোমহর্ষক নির্যাতনের এই চিত্র।
পুরো ঘটনার বর্ণনায় শনিবার সকালে শাহানারা বাংলামেইলকে জানান, সেদিন তাকে প্রথম ধাপে পেটানো হয় মুন্নি নামে শাহাজাহানের এক আত্মীয়ের বাসার সামনের রাস্তায়। শাহজাহান তাকে লাঠি পেটা করার পর লাথি মেরে রাস্তা থেকে পাশের খাদে ফেলে দেন। সেখানে কয়েকজন আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি (শাহজাহান) আরো অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন। লাঠির আঘাতে একসময় জ্ঞান হারান শাহানা।
জ্ঞান ফিরে তিনি নিজেকে একটি হালকা অন্ধকার ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখেন। তখন সামনে শাহজাহান ছাড়া আর কেউ ছিলো না। তিনি তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও চালান। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। স্পর্শকাতর স্থানগুলো থেকে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকলে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় শাহজাহান। ওই বাড়িটি শাহজাহানের এক আত্মীয়ের বাড়ি ছিল।
এর আগে শাহানারা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ভাইয়া শোনেন। এই শাহজাহান সন্ত্রাস। চাঁদাবাজ। সে মানুষ থেকে চাঁদাবাজি করে খায়। থানার দালালি করে। আমার কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছে। আমি তাকে পাত্তা দিচ্ছি না। আমার টাকা পয়সা দেখে সে বিভিন্ন কৌশল খুঁজতে থাকে।’
স্থানীয়রা জানান, থানার এই কথিত দালাল শাহজাহানের বয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসীও। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পান না। থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখান তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৪০ বছর বয়সী সেদিনের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বাংলামেইলকে বলেন, শাহানারাকে শাহজাহানের নির্যাতন দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখনো রাতে ঘুমাতে পারেন না। তার ছোট নাতিটা ঘুমের ঘোরে আতঙ্কিত হয়ে জেগে ওঠে।
এদি
কে, শুক্রবার রাতেই শাহানারাকে নির্যাতনের ঘটনায় ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশ করে বাংলামেইল। এরপর টনক নড়ে থানা প্রশাসনের। রাতেই মামলাটি রেকর্ড করে আসামির খোঁজে নামে হাতিয়া থানা পুলিশ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আনিসুল হক বাংলামেইলকে বলেন, ‘আপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
Click for details
বিবস্ত্র করে দু’ধাপে পেটানো হয়েছিল শাহানারাকে
হাতিয়া (নোয়াখালী) থেকে ফিরে: চাঁদা না দেয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিন সন্তানের জননী শাহানারাকে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়েছিল দুইধাপে। প্রথম ধাপের ঘটনাটি একজন যুবক মোবাইল ফোনে ধারণ করতে পারলেও দ্বিতীয় চিত্রটি সম্ভব হয়নি।
গত সোমবার হাতিয়া থানার ‘দালাল’ শাহজাহান তাকে দুই ধাপে পেটান। ঘটনায় বাংলামেইলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে লোমহর্ষক নির্যাতনের এই চিত্র।
পুরো ঘটনার বর্ণনায় শনিবার সকালে শাহানারা বাংলামেইলকে জানান, সেদিন তাকে প্রথম ধাপে পেটানো হয় মুন্নি নামে শাহাজাহানের এক আত্মীয়ের বাসার সামনের রাস্তায়। শাহজাহান তাকে লাঠি পেটা করার পর লাথি মেরে রাস্তা থেকে পাশের খাদে ফেলে দেন। সেখানে কয়েকজন আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি (শাহজাহান) আরো অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন। লাঠির আঘাতে একসময় জ্ঞান হারান শাহানা।
জ্ঞান ফিরে তিনি নিজেকে একটি হালকা অন্ধকার ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখেন। তখন সামনে শাহজাহান ছাড়া আর কেউ ছিলো না। তিনি তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও চালান। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। স্পর্শকাতর স্থানগুলো থেকে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকলে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় শাহজাহান। ওই বাড়িটি শাহজাহানের এক আত্মীয়ের বাড়ি ছিল।
এর আগে শাহানারা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ভাইয়া শোনেন। এই শাহজাহান সন্ত্রাস। চাঁদাবাজ। সে মানুষ থেকে চাঁদাবাজি করে খায়। থানার দালালি করে। আমার কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছে। আমি তাকে পাত্তা দিচ্ছি না। আমার টাকা পয়সা দেখে সে বিভিন্ন কৌশল খুঁজতে থাকে।’
স্থানীয়রা জানান, থানার এই কথিত দালাল শাহজাহানের বয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসীও। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পান না। থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখান তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৪০ বছর বয়সী সেদিনের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বাংলামেইলকে বলেন, শাহানারাকে শাহজাহানের নির্যাতন দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখনো রাতে ঘুমাতে পারেন না। তার ছোট নাতিটা ঘুমের ঘোরে আতঙ্কিত হয়ে জেগে ওঠে।
এদি
কে, শুক্রবার রাতেই শাহানারাকে নির্যাতনের ঘটনায় ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশ করে বাংলামেইল। এরপর টনক নড়ে থানা প্রশাসনের। রাতেই মামলাটি রেকর্ড করে আসামির খোঁজে নামে হাতিয়া থানা পুলিশ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আনিসুল হক বাংলামেইলকে বলেন, ‘আপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
Click for details
Reviewed by Unknown
on
10:14:00 PM
Rating:
No comments: